কীভাবে বাচ্চার জন্ম দেবে? গবেষণার জন্য মহাকাশে হনুমান পাঠাবে চিন: রিপোর্ট

Spread the love

China Space Monkey: অভিকর্ষহীন মহাশূন্যে প্রজনন। চিনের মহাকাশ গবেষণার পরবর্তী অধ্যায় হতে চলেছে এটিই। আর এই গবেষণার অংশ হিসাবে, নিজেদের স্পেস স্টেশনে হনুমান পাঠাবে চিন।

নতুন তিয়ানগং মহাকাশ স্টেশনে এই পরীক্ষা চালানো হবে। এমনটাই প্রকাশিত হয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক রিপোর্টে। ঝাং লু জানিয়েছেন, চিনা স্পেস স্টেশনের বৃহত্তম মডিউলটি জীববিজ্ঞানের পরীক্ষানিরীক্ষার উদ্দেশে তৈরি করা হয়েছে। সেখানেই এই পরীক্ষাটি চালানো হবে। ‘এই পরীক্ষা মাইক্রোগ্রাভিটি এবং মহাকাশে জীবের অভিযোজন সম্পর্কে আমাদের আরও স্পষ্ট ধারণা পেতে সাহায্য করবে,’ জানিয়েছেন তিনি। আরও পড়ুন: ‘সৃষ্টির স্তম্ভে’র ছবি তুলল James Webb, ফের মুগ্ধ মানবজাতি

তবে, এর আগেও মহাকাশে জেব্রা ফিশ এবং পোকামাকড়-সহ ক্ষুদ্র প্রজাতির জীবের প্রজনন করা হয়েছে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন ফেরত শুক্রাণু থেকে জন্মানো ইঁদুরের ছবি ভাইরাল হয়। গবেষকদের মতে, ইঁদুর এবং প্রাইমেটদের ক্ষেত্রে এই ধরনের গবেষণা করার বিষয়ে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। সেইগুলি কীভাবে অতিক্রম করা যায়, তাই নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে।

স্পেস স্টেশনে সৌর বিকিরণ পৃথিবীর তুলনায় প্রায় ১০০ গুণ বেশি। এই মহাজাগতিক রশ্মির ০.৫mSv গড় দৈনিক প্রভাবে শুক্রাণু-সহ জীবন্ত কোষের ডিএনএ কোডের ক্ষতি হতে পারে।

মাইক্রোগ্রাভিটি শুক্রাণুর উপরেও উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে। ১৯৮৮ সালে জার্মান গবেষকরা একটি রকেটে মহাকাশে ষাঁড়ের বীর্যের একটি নমুনা পাঠিয়েছিলেন। পরে দেখা যায়, এই শুক্রাণুগুলি কম মাধ্যাকর্ষণে অনেক দ্রুত সাঁতার কাটতে সক্ষম হচ্ছে। যদিও এতে প্রজনন ক্ষমতা বাড়বে কিনা, তা জানা যায়নি।

আরেক মহাকাশ পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মাছের ডিম মহাকাশে নিষিক্ত হতে পারে। ১৫ দিনের কক্ষপথের উড়ানের সময় স্বাভাবিকভাবেই সেটি বাড়তে পারে। এর থেকে এটাই বোঝা যায় যে, মহাকাশে সংক্ষিপ্ত ক্ষেত্রে প্রজননে খুব বেশি সমস্যা না-ও হতে পারে।

মহাকাশ ফেরত শুক্রাণু থেকে জন্ম নেওয়া ইঁদুর ছানা। ফাইল ছবি: নাসা
মহাকাশ ফেরত শুক্রাণু থেকে জন্ম নেওয়া ইঁদুর ছানা। ফাইল ছবি: নাসা (NASA)

অন্যদিকে ফ্রিজ-ড্রায়েড ইঁদুরের শুক্রাণুর নমুনাও স্পেস স্টেশনে নয় মাস ধরে সংরক্ষণ করা হয়েছিল। পরে সেটি পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হয়। গবেষণায় দেখা যায়, শুক্রাণু ডিএনএ সামান্য ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। তবে এটি ইঁদুরের ডিম নিষিক্ত করার জন্য এবং আপাত স্বাস্থ্যকর ছানা তৈরির ক্ষেত্রে কোনও বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। প্রজনন হারেরও হেরফের হয়নি।

চিনা গবেষকদের কথায়, বর্তমানে মহাকাশের জন্য হনুমানদের প্রশিক্ষণ দেওয়াটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আরও পড়ুন: Alert: বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ চিনা রকেটের ধ্বংসাবশেষ, কোথায় মিলল দেখা?

বর্তমানে, তিয়াংগং স্পেস স্টেশনে তিনজন মহাকাশচারী রয়েছেন- চেন ডং, কাই জুয়েজ এবং লিউ ইয়াং।

Source link


Spread the love
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments
Secured By miniOrange