বিরোধী, এবং সংসদীয় প্যানেলের আপত্তি উপেক্ষা করেই নয়া টেলিকম বিল পেশ সরকারের

Spread the love

বিরোধী শিবির, বুদ্ধিজীবী, মুক্ত ইন্টারনেট সমর্থক এবং তথ্য প্রযুক্তি সংক্রান্ত সংসদীয় প্যানেল। প্রায় সবারই বিরোধিতা রয়েছে। তা সত্ত্বেও ‘জননিরাপত্তার স্বার্থে’ ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত করার ধারা প্রণয়নের খসড়া প্রস্তাব পেশ করল কেন্দ্র সরকার। বুধবার এই খসড়া টেলিকম বিলের প্রেক্ষিতে কেন্দ্র জানায়, ‘জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা ভারতের নাগরিকদের অধিকার।’

২৪ নম্বর ধারা

বিতর্কিত ২৪ নম্বর ধারার অধীনে, সরকার জনসাধারণের নিরাপত্তার স্বার্থে কোনও ব্যক্তি, শ্রেণী বা উভয়ের মধ্যে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থগিত করতে পারে। খসড়া অনুযায়ী, ভারতের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা বা নিরাপত্তার স্বার্থে, বিদেশী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, জনশৃঙ্খলা, বা কোনও অপরাধের প্ররোচনা প্রতিরোধের স্বার্থে এই পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।

২৫ নম্বর ধারা

এর পাশাপাশি ২৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী, এই ধরনের টেলিযোগাযোগ পরিষেবাগুলির সঙ্গে সংযুক্ত যে কোনও টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক বা টেলিযোগাযোগ পরিকাঠামোগুলির আংশিক বা সম্পূর্ণ পরিচালনা করার জন্য সরকারের কোনও কর্তৃত্বের মারফত নিয়ন্ত্রণ এবং পরিচালনা গ্রহণ, বা পরিচালনা স্থগিত করতে পারবে।

খসড়া আইনটিতে শুধুমাত্র প্রচলিত ফোন কল, টেক্সট মেসেজ এবং ব্রডব্যান্ড সংযোগই নয়, এর সঙ্গে ওভার-দ্য-টপ (OTT) অ্যাপ্লিকেশনগুলিকেও রয়েছে। এর মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপের মতো পরিষেবাও অন্তর্ভুক্ত। এগুলিও টেলিকমিউনিকেশন পরিষেবার অংশ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

বর্তমানে, টেম্পোরারি সাসপেনশন অফ টেলিকম সার্ভিসেস (পাবলিক ইমার্জেন্সি বা পাবলিক সেফটি), ২০১৭ মেনে ইন্টারনেট শাটডাউন করা হয়। এটি ভারতীয় টেলিগ্রাফ অ্যাক্ট, ১৮৮৫-র ৭ নম্বর ধারা বা CrPC-র ১৪৪ নম্বর ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতার অধীনে খসড়া করা হয়েছিল।

এদিকে, তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সুপারিশ, বিরূপ পরিস্থিতিতে ইন্টারনেট বন্ধের বদলে, সরকারের নির্দিষ্ট কিছু ইন্টারনেট পরিষেবা, যেমন হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার এবং ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট নিষিদ্ধ করার বিষয়ে ভাবা উচিত্।  

Source link


Spread the love
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments
Secured By miniOrange