সাধারণ সাইকেল বদলে ফেলুন ই-সাইকেলে! রইল কাঁচামাল, খরচাপাতির হিসাব

Spread the love

DIY E-Cycle: ভারতে ইলেকট্রিক সাইকেলের চাহিদা বাড়ছে। গ্রাম-মফস্বলের রাস্তাঘাটে মাঝে মধ্যেই ইলেকট্রিক সাইকেলের দেখা মিলছে। সাধারণ সাইকেলেই মোটর বসাচ্ছেন অনেকে। আর তাতে বসেই প্যাডেল না করেই চোঁ-চোঁ করে যাচ্ছেন আরোহীরা। সেই দেখে কি আপনারও মনে কৌতূহল জাগে? এমন কীভাবে হল জানতে ইচ্ছা করে? তাহলে এই প্রতিবেদনটি আপনার জন্য।

ভাল কোম্পানির ই-সাইকেল কিনতে গেলে এখন প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ পড়বে। এই সাইকেলগুলিতে সাধারণত ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত রেঞ্জ দেয়।

কিন্তু সাধারণ সাইকেলই বৈদ্যুতিক সাইকেলে বদলে নিতে পারেন। আর সেটা করতে মাত্র ১০-১৫ হাজার টাকা খরচ হবে। চলবে কেনা ই-সাইকেলের মতোই। আরও পড়ুন : Best 100km Mileage Bikes: পুজোয় নজরে রাখুন ৪টি ভাল মাইলেজের মডেল

বৈদ্যুতিক সাইকেল বানাতে যা যা জোগাড় করতে হবে

প্রথমত, একটি সাধারণ সাইকেল লাগবে। না থাকলে ১-২ হাজার টাকায় পুরানো সেকেন্ড হ্যান্ড সাইকেল কিনে নিতে পারেন। এবার সেটা ই-সাইকেলে পরিণত করার জন্য BLDC মোটর, লিথিয়াম ব্যাটারি, চার্জার, কন্ট্রোলার এবং ইনস্টলেশন কিট লাগবে।

বৈদ্যুতিক সাইকেল তৈরি করতে 250W/36V মোটর যথেষ্ট। মোটরের গতি 328 RPM পর্যন্ত। দাম প্রায় ৬,৫০০ টাকার আশেপাশে পড়বে।

ব্যাটারি

এমন ব্যাটারি খুঁজতে হবে, যার ওজনও কম, আবার যাতে লম্বা রেঞ্জও পাবেন। লিথিয়াম ব্যাটারি হালকা এবং ২-৩ ঘণ্টার মধ্যেই চার্জ নিয়ে নেয়। 36V মোটরের ক্ষেত্রে লিথিয়াম ব্যাটারিটিও 36V হওয়া উচিত। 6Ah/36V লিথিয়াম ব্যাটারি কিনতে হবে।

ফাইল ছবি: লাইভ হিন্দুস্তান
ফাইল ছবি: লাইভ হিন্দুস্তান (Live Hindustan)

চার্জার, কনট্রোলার

চার্জ কন্ট্রোলারের মাধ্যমে সাইকেলে ব্যবহৃত লিথিয়াম ব্যাটারি, মোটর, চার্জার, পাওয়ার বাটন এবং আলো নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এই ধরনের সাইকেলে 4Amp/12V-এর চার্জ কন্ট্রোলার লাগানো হয়। লিথিয়াম ব্যাটারি চার্জ করার জন্য, একটি লিথিয়াম চার্জার ইনস্টল করতে হবে। এটি কিন্তু সাধারণ চার্জারের থেকে আলাদা। লিথিয়াম ব্যাটারি চার্জ করতে, একটি 2Amp/36V, 230V AC চার্জার লাগবে। লিথিয়াম ব্যাটারি সোলার প্যানেল দিয়েও চার্জ দেওয়া যায়।

এর জন্য সোলার প্যানেলের ভোল্টেজ 36V হতে হবে। এর সঙ্গে আনুষঙ্গিক, ইনস্টলেশন কিট লাগবে। তার মধ্যে থাকছে তার, আলো, নাট-বোল্ট, এক্সিলারেটর, অন/অফ সুইচ। এগুলি ই-কমার্স ওয়েবসাইটে খুঁজলেই পেয়ে যাবেন। রিভিউ দেখে কিনবেন।

ই-সাইকেলে রূপান্তর করার প্রক্রিয়া

সাধারণত ই-সাইকেল ইনস্টলেশন কিটের সঙ্গে একটি গাইড বুকও থাকে। তবে অনেকে সেটি খটমট লাগতে পারে। সেক্ষেত্রে সমস্ত জিনিস সহ সাইকেলটি একজন মোটর মেকানিকের কাছে নিয়ে যান। তিনি সহজেই করে দেবেন। এই কাজে সব মিলিয়ে আপনার খরচ পড়বে প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা।

এই মোটর ও ব্যাটারি সেটআপে এক চার্জে ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত রেঞ্জ পাবেন। এটি রাস্তার অবস্থা, সাইকেলের রক্ষণাবেক্ষণ, সাইকেল ও আরোহীর ওজনের উপরেও নির্ভরশীল। সর্বোচ্চ ২৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা পর্যন্ত গতি উঠতে পারে।

Source link


Spread the love
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments
Secured By miniOrange